রেওয়াতসমুহে মূলাকে ফাজল (فجل ) বলা হয়েছে।
মূলা বালগাম দূর করে,মূলার
কাণ্ড খাদ্য হজম ও পরিপাক করতে সাহায্য করে এবং মূলা পাতা ( মূলা শাখ ) মূত্র বর্ধক
অর্থাৎ diuretic.
মূলা দুই প্রকার, ১. গ্রীষ্মকালীন মূলা ( তোরোবচেহ বা
গোলাকৃতির ছোট লাল মূলা) এবং শীতকালীন মূলা ( গোলাকৃতির কালো মূলা )
জামে ইমাম রেযা ( আঃ ) গ্রন্থে উল্লেখিত
হয়েছে কিডনির পাথর বের করার জন্য গমের একটি
দানা সমেত মূলার রস পান করা উপকারী।
মূলা তবিয়ত বা প্রকৃতি হচ্ছে গরম ( উষ্ণ ) এবং শুষ্ক ।মূলার বীজ মূলা বা মূলার
কাণ্ড ও পাতার চেয়ে বেশি উষ্ণ ও শুষ্ক ।
মূলা পেট ফাঁপায়, ঢেকুর উদ্রক করে কিন্তু মূলার বীজ পেট ফাঁপানো ভালো করে।
মূলার তেলের কয়েক ফোঁটা কানে ঢাললে
কানের বাতাস দূর করে।
মূলার পাতার রস চোখের দৃষ্টি শক্তি
বৃদ্ধি করে।
মূলার পাতা ফুটন্ত পানিতে দম করে সেই
পানি খেলে তৃষ্ণা দূর হয় এবং ক্রনিক কাঁশি ভালো হয়।
মূলার রস খওয়া খাদ্য হজমের জন্য উপকারী
।
মূলার রস যকৃত এবং প্লীহার অবস্ট্রাকশন
( Obstruction
) নিরাময়ে উপকারী।
মূলার রস জন্ডিস এবং পাণ্ডুর রোগ নিরাময়ে
উপকারী।
মূলা বীজ ক্ষুধাবর্ধক ও রুচিকরএবং যকৃতের ব্যাথা উপশম করে।
খাওয়ার পর দু গ্র্যাম মূলা বীজ খেলে
তা খাবার হজমে সাহায্য করে।
মূলা বীজ এবং এর কাণ্ড খেলে তা অস্থিসন্ধির
ব্যাথা এবং সায়াটিক ব্যাথা উপশম করার জন্য উপকারী।
মূলা - মধুর প্রলেপ ও পট্টি ক্রনিক ক্ষত ভালো করার জন্য উপকারী।
মূলার রস সেবন বা পান মূত্র নালিকে উন্মুক্ত করা অর্থাৎ খোলার জন্য উপকারী।
১০০ গ্র্যাম মূলা পাতা ও শাখার রস
লাল চিনির সাথে পান করলে যার্দাব ( زرداب ) অর্থাৎ পিত্ত ( bile ) এবং শরীরের বাড়তি পানি বের করে দেয়
।
মূলার ভিতর খালি করে তা শালগম বীজ
দিয়ে পূর্ণ করে এবং এর মাথা শালগমের টুকরো
দিয়ে আটকিয়ে সেটাকে পিসে আগুণে পোড়ানোর পর মধু দিয়ে খেলে তা মূত্রনালির পাথর
বের করার ক্ষেত্রে উপকারী।
মূলা বীজ খাওয়া মূত্রবর্ধক অর্থাৎ
ডাই ইউরেটিক।
মূলা বীজ খাওয়া বমির উদ্রেক করে।
মূলাবীজ এবং সিরকার প্রলেপ বা পট্টি
দংশনকারী প্রাণীর বিষ বের করার ক্ষেত্রে উপকারী।
মূলার রস শরীরে মাখালে পোকা-মাকড়
দূর হয় ।
মূলা খেলে মুখমণ্ডলের রং উজ্জ্বল হয়।
গমের আটার সাথে সিদ্ধ মূলার
প্রলেপ মাথায় মাখলে তা চুল গজানো এবং চুল পড়া বন্ধ করার জন্য উপকারী ।
ইসলামী
সংস্কৃতি ও জীবনধারা