শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮

স্বাস্থ্য ও শিফা ( রোগ আরোগ্য ও নিরাময় ) সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীস - ১



চার খাসলাত ( বৈশিষ্ট ও স্বভাব ) অর্জিত হলে মানুষকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় না


عن الأصبغ بن نباتة قال : قال أمير المؤمنين عليّ بن أبي طالب ( ع ) للحسن ابنه : يا بنيّ ألا أُعلِّمُکَ أربَعَ خِصالٍ تَستَغنِي بِها عَنِ الطِّبِّ ؟ فَقالَ : بَلَی يَا أَمِيرَ المُؤمِنِينَ ، قَالَ : لَا تَجلِس عَلَی الطَّعَامِ وَ أَنتَ جَائِعً ، لَا تَقُم عَنِ الطَّعَامِ إِلَّا وَ أَنتَ تَشتَهِي ، وَ جَوِّدِ المَضغَ ، وَ إِذَا نُمتَ فَاعرِض نَفسَکَ عَلَی الخَلَاءِ ، فَإِذَا استَعمَلتَ هذَا استَغنَيتَ عَنِ الطِّبِّ .

আসবাঘ ইবন-ই নুবাতাহ থেকে বর্ণিতঃ ইমাম আমীরুল মুমিনীন আলী ইবন-ই আবী তালিব (আঃ) ইমাম হাসানকে (আঃ) বললেনঃ হে বৎস্য, তোমাকে কি আমি চার খাসলাতের(বৈশিষ্ট ও স্বভাব)শিক্ষা দেব যারফলে তুমি চিকিৎসার মুখাপেক্ষী হবে না.... তখন ইমাম হাসান(আঃ)বললেনঃ জী, হ্যাঁ। তখন আলী(আঃ) তাকে বললেনঃ ক্ষুধার্ত না হয়ে খাবার খেতে বসো না(ক্ষুধার্ত না হওয়া পর্যন্ত আহার করো না) , খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকাবস্থায় অর্থাৎ পরিতৃপ্ত না হয়ে এবং ক্ষুধা থাকাবস্থায় খাওয়া শেষ করো , খাবার ভালোভাবে চাবাবে , ঘুমাতে যাওয়ার আগে (সময় এবং ঘুম থেকে উঠে)  টয়লেটে গিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করে নিজেকে খালি ও পরিষ্কার করো।

 --সূত্রঃ আল-খিসালপৃঃ২৫৭হাদীস নংঃ৬৭ , ওয়াসাইলুশ শিয়াখঃ২৪পৃঃ২৪৫হাদীস নংঃ৮


অতিভোজন ( খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে অপব্যয় অর্থাৎ ইসরাফ )


ইমাম আলী(আঃ)বলেনঃ অতিভোজন করা থেকে বিরত থাক।কারণ যে অতিভোজন করে তার রোগ-ব্যাধি বেশি হয়ে থাকে(অর্থাৎ বেশি বেশি রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ হয়)এবং তার সুনিদ্রা হয় না (অর্খাৎ সে ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখে)। (দ্রঃ গুরারুল হিকাম )

إِيَّاکَ وَ البِطنَةَ ، فَمَن لَزِمَهَا کَثُرَت أَسقَامُهُ ، فَسَدَت أَحلَامُهُ



অন্যত্র তিনি বলেছেনঃ অতিভোজন থেকে বিরত থাক। কারণ তা অন্তঃকরনকে পাষা করে, নামাজ পড়ার ক্ষেত্র আলস্য আনয়ন করে এবং দেহকে  নষ্ট করে দেয় ( দৈহিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়)।
إِيَّکُم و البِطنَةَ ، فَإِنَّهَا مِقسَاةٌ لِلقَلبِ مِکسَلَةٌ عَنِ الصَّلَاةِ ، مَفسَدَةٌ لِلجَسَد



হযরত আলী (আঃ) বলেনঃ অতিভোজন বুদ্ধিমত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে বা বিঘ্ন ঘটায় ( অর্থাৎ বুদ্ধিমত্তার বিলোপ সাধন করে)।
البِطنَةُ تَمنَعُ الفِطنَةُ



হযরত আলী(আঃ) বলেনঃ অতিভোজন(উদরপূর্তি করে খাওয়া) ধর্মভীরুতা ও তাকওয়া-পরহেজগারীকে নষ্ট করে দেয়।
الشَّبَعُ يُفسِدُ الوَرَعَ



হয়রত আলী(আঃ) বলেনঃ উদর মুবাহ(বৈধ হালাল)খাদ্য দিয়ে ভর্তি হয়ে গেলে (অর্থাৎ অতিভোজন ও ভুড়িভোজন করলে)অন্তঃকরন(অন্তর)অন্ধ হয়ে কল্যাণ ও মঙ্গলকে শনাক্ত ও চিহ্নিত করতে পারে না।
إِذَا مُلِيَ البَطنُ مِنَ المُبَاحِ عَمِيَ القَلبُ عَنِ الصَّلَاحِ




হযরত আলী (আঃ) বলেনঃ  তাকওয়া-পরহেজগারীর নিকৃষ্ট সংগি হচ্ছে অতিভোজন ও পেটুকতা।
بِئسَ  قَرِينُ الوَرَعِ الشَّبَعُ





হযরত আলী(আঃ)বলেনঃ সবসময় অতিভোজন করা অর্থাৎ অতিভোজনের অভ্যাস  বিভিন্ন ধরনের বেদনাদায়ক রোগ ব্যাধির কারণ।
إِدمَانُ الشَّبَعِ يُورِثُ أُنواعَ الوَجَعُ




হযরত আলী (আঃ) বলেনঃ অতিভোজন ( উদরপূর্তি) এবং ফরজ ওয়াজিব বিধান পালন  এক জায়গা একত্রিত হয় না ( অর্থাৎ একসংগে সম্ভব নয়)।
لَايَجتَمِعُ الشَّبَعُ وَ القِيَامُ بِالمُفتَرَضِ




হযরত আলী(আঃ) বলেনঃ অতিভোজন(উদরপূর্তি করে আহার)হচ্ছে পাপাচারের
 উত্তম সহায়তাকারী ও সহযোগী।
نِعمَ عَونُ المَعَاصِي الشَّبَعُ




হযরত আলী (আঃ) বলেনঃ   তোমরা অতিভোজনের অভ্যাস পরিহার করবে। কারণ তা রোগ ব্যাধির কারণ এবং রোগ ব্যাধির তীব্রতা বৃদ্ধি করে।
إِيَّاکَ وَ إِدمَانَ الشَّبَعِ ، فَإِنَّهُ يَهِيجُ الأَسقَامَ وَ يُثِيرُ العِلَلَ





দ্রঃ মুহাম্মাদ দাশতী প্রণীত ইমাম আলী (আঃ) এবং স্বাস্থ্য ও আরোগ্য

সংকলন এবং অনুবাদঃ মোঃ মুনীর হোসেন খান




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

খেজুর ( تمر ) এর গুন সংক্রান্ত কিছু হাদিস.

ইমাম সাদিক ( আঃ ) নিজ পিতৃপুরুষদের মাধ্যমে ইমাম আলী ( আঃ ) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ ما تأکُلُ الحامِلُ مِن شيءٍ و لا ...