চার খাসলাত ( বৈশিষ্ট ও স্বভাব ) অর্জিত হলে মানুষকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় না
عن
الأصبغ بن
نباتة قال
: قال أمير
المؤمنين عليّ
بن أبي
طالب ( ع
) للحسن ابنه
: يا بنيّ
ألا أُعلِّمُکَ
أربَعَ خِصالٍ
تَستَغنِي بِها
عَنِ الطِّبِّ
؟ فَقالَ
: بَلَی يَا
أَمِيرَ المُؤمِنِينَ
، قَالَ
: لَا تَجلِس
عَلَی الطَّعَامِ
وَ أَنتَ
جَائِعً ،
لَا تَقُم
عَنِ الطَّعَامِ
إِلَّا وَ
أَنتَ تَشتَهِي
، وَ
جَوِّدِ المَضغَ
، وَ
إِذَا نُمتَ
فَاعرِض نَفسَکَ
عَلَی الخَلَاءِ
، فَإِذَا
استَعمَلتَ هذَا
استَغنَيتَ عَنِ
الطِّبِّ .
আসবাঘ ইবন-ই নুবাতাহ থেকে বর্ণিতঃ ইমাম আমীরুল
মুমিনীন আলী ইবন-ই আবী তালিব (আঃ) ইমাম হাসানকে (আঃ) বললেনঃ হে বৎস্য, তোমাকে কি আমি চার খাসলাতের(বৈশিষ্ট
ও স্বভাব)শিক্ষা দেব যারফলে তুমি চিকিৎসার মুখাপেক্ষী হবে না.... তখন ইমাম
হাসান(আঃ)বললেনঃ জী, হ্যাঁ। তখন আলী(আঃ) তাকে বললেনঃ
ক্ষুধার্ত না হয়ে খাবার খেতে বসো না(ক্ষুধার্ত না হওয়া পর্যন্ত আহার করো না) ,
খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকাবস্থায় অর্থাৎ পরিতৃপ্ত না হয়ে এবং ক্ষুধা
থাকাবস্থায় খাওয়া শেষ করো , খাবার ভালোভাবে চাবাবে , ঘুমাতে যাওয়ার আগে (সময় এবং ঘুম থেকে উঠে) টয়লেটে গিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করে নিজেকে খালি ও পরিষ্কার করো।
--সূত্রঃ আল-খিসাল, পৃঃ২৫৭, হাদীস
নংঃ৬৭ , ওয়াসাইলুশ শিয়া, খঃ২৪, পৃঃ২৪৫, হাদীস নংঃ৮
অতিভোজন ( খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে অপব্যয় অর্থাৎ ইসরাফ )
ইমাম আলী(আঃ)বলেনঃ অতিভোজন করা থেকে বিরত থাক।কারণ যে অতিভোজন করে তার রোগ-ব্যাধি
বেশি হয়ে থাকে(অর্থাৎ বেশি বেশি রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ হয়)এবং তার সুনিদ্রা হয় না (অর্খাৎ
সে ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখে)। (দ্রঃ গুরারুল হিকাম )
إِيَّاکَ وَ البِطنَةَ ، فَمَن لَزِمَهَا کَثُرَت أَسقَامُهُ ، فَسَدَت أَحلَامُهُ
অন্যত্র
তিনি বলেছেনঃ অতিভোজন থেকে বিরত থাক। কারণ তা অন্তঃকরনকে পাষাণ করে, নামাজ পড়ার ক্ষেত্র আলস্য
আনয়ন করে এবং দেহকে নষ্ট করে দেয় ( দৈহিক স্বাস্থ্যের
অবনতি ঘটায়)।
إِيَّکُم و البِطنَةَ ، فَإِنَّهَا مِقسَاةٌ لِلقَلبِ مِکسَلَةٌ عَنِ الصَّلَاةِ ، مَفسَدَةٌ لِلجَسَد
হযরত আলী (আঃ) বলেনঃ অতিভোজন বুদ্ধিমত্তাকে বাধাগ্রস্ত করে বা বিঘ্ন ঘটায় ( অর্থাৎ বুদ্ধিমত্তার বিলোপ সাধন করে)।
البِطنَةُ تَمنَعُ الفِطنَةُ
হযরত আলী(আঃ)
বলেনঃ অতিভোজন(উদরপূর্তি করে খাওয়া) ধর্মভীরুতা ও তাকওয়া-পরহেজগারীকে নষ্ট করে দেয়।
الشَّبَعُ يُفسِدُ الوَرَعَ
হয়রত আলী(আঃ)
বলেনঃ উদর মুবাহ(বৈধ হালাল)খাদ্য দিয়ে ভর্তি হয়ে গেলে (অর্থাৎ অতিভোজন ও ভুড়িভোজন
করলে)অন্তঃকরন(অন্তর)অন্ধ হয়ে কল্যাণ ও মঙ্গলকে শনাক্ত ও চিহ্নিত করতে পারে না।
إِذَا مُلِيَ البَطنُ مِنَ المُبَاحِ عَمِيَ القَلبُ عَنِ الصَّلَاحِ
হযরত
আলী (আঃ) বলেনঃ তাকওয়া-পরহেজগারীর নিকৃষ্ট
সংগি হচ্ছে অতিভোজন ও পেটুকতা।
بِئسَ قَرِينُ الوَرَعِ الشَّبَعُ
হযরত আলী(আঃ)বলেনঃ
সবসময় অতিভোজন করা অর্থাৎ অতিভোজনের অভ্যাস
বিভিন্ন ধরনের বেদনাদায়ক রোগ ব্যাধির কারণ।
إِدمَانُ الشَّبَعِ يُورِثُ أُنواعَ الوَجَعُ
হযরত
আলী (আঃ) বলেনঃ অতিভোজন ( উদরপূর্তি) এবং ফরজ ওয়াজিব বিধান পালন এক জায়গা একত্রিত হয় না ( অর্থাৎ একসংগে সম্ভব নয়)।
لَايَجتَمِعُ الشَّبَعُ وَ القِيَامُ بِالمُفتَرَضِ
হযরত আলী(আঃ)
বলেনঃ অতিভোজন(উদরপূর্তি করে আহার)হচ্ছে পাপাচারের
উত্তম সহায়তাকারী ও সহযোগী।
نِعمَ عَونُ المَعَاصِي الشَّبَعُ
হযরত
আলী (আঃ) বলেনঃ তোমরা অতিভোজনের অভ্যাস পরিহার
করবে। কারণ তা রোগ ব্যাধির কারণ এবং রোগ ব্যাধির তীব্রতা বৃদ্ধি করে।
إِيَّاکَ وَ إِدمَانَ الشَّبَعِ ، فَإِنَّهُ يَهِيجُ الأَسقَامَ وَ يُثِيرُ العِلَلَ
দ্রঃ মুহাম্মাদ দাশতী প্রণীত ইমাম আলী (আঃ) এবং স্বাস্থ্য ও আরোগ্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন