নেইসান
হচ্ছে অষ্টম রোমীয় মাস যা ২৩ শে ফার্ভার্দীন ( ১২ এপ্রিল ) থেকে শুরু হয়। এ মাস ৩০
দিনের।কিছু হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে,এ মাসে যে
বৃষ্টি হয় তার বেশ কিছু উপকারী বৈশিষ্ট ( খাওয়াস ) রয়েছে।যদি কেউ
কোন পরিস্কার পাত্রে এ মাসের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে এর উপর নিম্নোক্ত সূরা ও
দুআসমুহ পড়বে এবং যে কেউ এই পড়া পানি পান করবে সে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও
আখলাকী (চারিত্রিক-নৈতিক) রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবে।আর রেওয়ায়তসমুহে এর ফযীলত ও
বরকত এতটা বর্ণিত হয়েছে যে তা সত্যি মানুষকে বিস্ময়াভিভূত করে ( যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩২-৫৩৪)।
সূরা ও দুআসমুহ হচ্ছেঃ ১.সূরা-ই হামদ,২.আয়াতুল কুর্সী,৩.কুল ইয়া
আইয়ুহাল কাফিরূন,৪.সাব্বিহাসমা রব্বিকাল আলা,৫.কুল আঊযু বিরব্বিল ফালাক,৬.কুল আঊযু
বিরব্বিন্নাস,৭.কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ - এ সব সূরার
প্রতিটি ৭০ বার পড়তে হবে ( যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩৪ )।
ঠিক একই ভাবে নিম্নোক্ত যিকরসমুহঃ১.লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ২. আল্লাহু আকবার ৩.আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলি
মুহাম্মাদ ৪.সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াল্লাহু আকবার – এ সব দুআর প্রতিটি ৭০ বার পড়তে হবে(যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩৪)।
মরহুম আল্লামা মাজলিসী বলেনঃ সার্বিক
ভাবে বৃষ্টির পানি হচ্ছে মুবারক( বরকতময় ) এবং উপকারী।হযরত আমীরুল মুমিনীন
আলী(আঃ)এর একটি হাদীসে বর্ণিত আছেঃ যে পানি আসমান থেকে বর্ষিত হয় তা তোমরা পান
করো।কারণ তা শরীরকে পরিস্কার ও পবিত্র করে এবং ব্যাথা-বেদনার উপশম করে।
পবিত্র কোরানে এরশাদ হচ্ছেঃ
وَ يُنَزِّلُ عَلَيکُم مِنَ السَّمَاءِ مَاءً لِيُطَهِّرَکُم بِهِ وَ يُذهِبَ عَنکَم رِجزَ الشَّيطَانِ وَ لِيَربِطَ عَلَی قُلُوبِکُم وَ يُثَبِّتَ بِهِ الأَقدَامَ
আল্লাহ পাক আসমান থেকে তোমাদের উপর
বারি(বৃষ্টি) বর্ষণ করেন সেই বৃষ্টির পানি দিয়ে তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্য , তোমাদের থেকে শয়তানের কুমন্ত্রণা অপসারণের জন্য , তোমাদের হৃদয় দৃঢ় করার জন্য এবং (তোমাদের) পা স্থির রাখার জন্য। (
সূরা-ই আনফাল,আয়াতঃ১১)
আল্লামা মাজলিসী বলেনঃ আব-ই নেইসান
সংক্রান্ত আমলের ক্ষেত্রে অধিকতর উত্তম পন্থা হচ্ছে যদি সমবেতভাবে কয়েকজন ব্যক্তি এসব সূরা ও দুআ
পড়ে তাহলে উক্ত সূরা ও দুআসমুহকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে প্রত্যেক ব্যক্তি তার
ভাগে যে কয়টি সূরা ও দুআ পড়বে সেগুলোর প্রতিটি
৭০ বার পাঠ করবে।তবে এর চেয়েও উত্তম হচ্ছেঃপ্রত্যেক ব্যক্তি ঐ সব সূরা ও
দুআর প্রতিটি ৭০ বার পাঠ করবে ( যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩৪,৫৩৫)।
n ইসলামী
সংস্কৃতি ও জীবনধারা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন