শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮

আব-ই নেইসান অর্থাৎ নেইসান মাসের বৃষ্টির পানি


নেইসান হচ্ছে অষ্টম রোমীয় মাস যা ২৩ শে ফার্ভার্দীন ( ১২ এপ্রিল ) থেকে শুরু হয়। এ মাস ৩০ দিনের।কিছু হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে,এ মাসে যে বৃষ্টি হয় তার বেশ কিছু উপকারী বৈশিষ্ট ( খাওয়াস ) রয়েছে।যদি কেউ কোন পরিস্কার পাত্রে এ মাসের বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে এর উপর নিম্নোক্ত সূরা ও দুআসমুহ পড়বে এবং যে কেউ এই পড়া পানি পান করবে সে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও আখলাকী (চারিত্রিক-নৈতিক) রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাবে।আর রেওয়ায়তসমুহে এর ফযীলত ও বরকত এতটা বর্ণিত হয়েছে যে তা সত্যি মানুষকে বিস্ময়াভিভূত করে ( যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩২-৫৩৪)।

সূরা ও দুআসমুহ হচ্ছেঃ ১.সূরা-ই হামদ,২.আয়াতুল কুর্সী,৩.কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরূন,৪.সাব্বিহাসমা রব্বিকাল আলা,৫.কুল আঊযু বিরব্বিল ফালাক,৬.কুল আঊযু বিরব্বিন্নাস,৭.কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ - এ সব সূরার প্রতিটি ৭০ বার পড়তে হবে ( যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩৪ )।

ঠিক একই ভাবে নিম্নোক্ত যিকরসমুহঃ১.লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ২. আল্লাহু আকবার ৩.আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলি মুহাম্মাদ ৪.সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার – এ সব দুআর প্রতিটি ৭০ বার পড়তে হবে(যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩৪)।

মরহুম আল্লামা মাজলিসী বলেনঃ সার্বিক ভাবে বৃষ্টির পানি হচ্ছে মুবারক( বরকতময় ) এবং উপকারী।হযরত আমীরুল মুমিনীন আলী(আঃ)এর একটি হাদীসে বর্ণিত আছেঃ যে পানি আসমান থেকে বর্ষিত হয় তা তোমরা পান করো।কারণ তা শরীরকে পরিস্কার ও পবিত্র করে এবং ব্যাথা-বেদনার উপশম করে।
পবিত্র কোরানে এরশাদ হচ্ছেঃ

وَ يُنَزِّلُ عَلَيکُم مِنَ السَّمَاءِ مَاءً لِيُطَهِّرَکُم بِهِ وَ يُذهِبَ عَنکَم رِجزَ الشَّيطَانِ وَ لِيَربِطَ عَلَی قُلُوبِکُم وَ يُثَبِّتَ بِهِ الأَقدَامَ

আল্লাহ পাক আসমান থেকে তোমাদের উপর বারি(বৃষ্টি) বর্ষণ করেন সেই বৃষ্টির পানি দিয়ে তোমাদেরকে পবিত্র করার জন্য , তোমাদের থেকে শয়তানের কুমন্ত্রণা অপসারণের জন্য , তোমাদের হৃদয় দৃঢ় করার জন্য এবং (তোমাদের) পা স্থির রাখার জন্য। ( সূরা-ই আনফাল,আয়াতঃ১১)

আল্লামা মাজলিসী বলেনঃ আব-ই নেইসান সংক্রান্ত আমলের ক্ষেত্রে অধিকতর উত্তম পন্থা হচ্ছে  যদি সমবেতভাবে কয়েকজন ব্যক্তি এসব সূরা ও দুআ পড়ে তাহলে উক্ত সূরা ও দুআসমুহকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে প্রত্যেক ব্যক্তি তার ভাগে যে কয়টি সূরা ও দুআ পড়বে সেগুলোর প্রতিটি  ৭০ বার পাঠ করবে।তবে এর চেয়েও উত্তম হচ্ছেঃপ্রত্যেক ব্যক্তি ঐ সব সূরা ও দুআর প্রতিটি ৭০ বার পাঠ করবে ( যাদুল মাআদ,পৃঃ৫৩৪,৫৩৫)।

n  ইসলামী সংস্কৃতি ও  জীবনধারা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

খেজুর ( تمر ) এর গুন সংক্রান্ত কিছু হাদিস.

ইমাম সাদিক ( আঃ ) নিজ পিতৃপুরুষদের মাধ্যমে ইমাম আলী ( আঃ ) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ ما تأکُلُ الحامِلُ مِن شيءٍ و لا ...